Posts

গাজায় রক্তের বৃষ্টি: মুসলমানদের আজ ঐক্য জরুরি কেন?

 গাজায় আগুন, আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ! বর্তমানে গাজা উপত্যকায় যা হচ্ছে, তা মানবতার ইতিহাসে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর এক অধ্যায়। প্রতিদিন নিরীহ শিশু, মা, বাবা, বৃদ্ধ— কেউই রেহাই পাচ্ছে না দখলদার বাহিনীর আক্রমণ থেকে। আকাশে ড্রোন, মাটিতে ট্যাংক, আর মানুষের কণ্ঠে অসহায়ের চিৎকার। পৃথিবী চুপ কেন? যেখানে মানবাধিকার নিয়ে সভা-সমাবেশ হয়, সেখানকার নেতারা আজ নিশ্চুপ। বড় বড় রাষ্ট্রগুলো আজ চোখ বন্ধ করে রেখেছে। মুসলিম বিশ্বও অনেক ক্ষেত্রে কেবল নিন্দা আর দোয়ার মধ্যেই সীমাবদ্ধ। কিন্তু আমরা কী করব? আমাদের দায়িত্ব কী? গাজার সত্য তুলে ধরতে হবে সোশ্যাল মিডিয়ায় সচেতনতা বাড়াতে হবে ব্লগ, ভিডিও, পোস্টের মাধ্যমে সবার সামনে গাজার ভয়াবহতা তুলে ধরতে হবে এবং সবচেয়ে বড় কথা— দোয়া করতে হবে নিরন্তর, একাগ্রচিত্তে প্যালেস্টাইন আমাদের ভাই, আমাদের পরিবার! তাদের উপর হামলা মানে আমাদের উপর হামলা। আজ যদি আমরা চুপ থাকি, কাল আমাদের জন্য কেউ দাঁড়াবে না। আসুন, আমরা গাজার জন্য আওয়াজ তুলি। --- শেষ কথা: ভাই ও বোনেরা, আপনার এক শেয়ার, এক পোস্ট অনেক মানুষের চোখ খুলে দিতে পারে। আজ যদি আমরা না জাগি, কাল ইতিহাস আমাদের ক্ষমা করবে না।

গাজায় ফুরিয়ে যাচ্ছে খাবার

Image
  গাজা অবরুদ্ধ ছয় সপ্তাহ ধরে। উপত্যকার ২৩ লাখ বাসিন্দার সব সরবরাহ বন্ধ রেখেছে ইসরায়েল। এতে যুদ্ধবিরতির সময় মজুত করা খাবারও ফুরিয়ে আসছে। সংকটে দাতব্য সংস্থাগুলো জরুরি খাবার বিতরণ করতে পারছে না। বেকারিগুলো বন্ধ হয়ে গেছে। বাজারে কোনো পণ্য নেই। সরবরাহ না থাকায় পানির তীব্র হাহাকার। হাসপাতালে জরুরি ওষুধের অভাবে চিকিৎসা ব্যাহত। এখন অতিদ্রুত গাজার চেকপয়েন্টগুলো খোলা না হলে ক্ষুধায় নিশ্চিতভাবেই মৃত্যু হবে বেশিরভাগ গাজাবাসীর। খান ইউনিসের একটি শরণার্থী শিবিরে প্লাস্টিকের ছাউনি ঘেরা তাঁবুতে নিজের পরিবারের সঙ্গে বসবাস করছেন আখরাস (৬৪)। সেখানেই তিনি কার্ডবোর্ড জ্বালিয়ে আগুন জ্বালান এবং একটি মটরশুঁটি ক্যান রান্না করেন। এটাই তাদের শেষ খাবার। তিনি বলেন, আমরা ১৩ জনের পরিবার। এক ক্যান মটরশুঁটি দিয়ে কী হবে? আখরাস আরও বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ থেকে বেঁচে গেছি, প্রতিদিন সকাল-বিকেল বোমাবর্ষণ সহ্য করেছি। কিন্তু আমরা আর ক্ষুধা সহ্য করতে পারছি না। না আমরা, না আমাদের সন্তানরা।’উত্তরে নুসাইরাত শরণার্থী শিবিরে শত শত ফিলিস্তিনি একটি খোলা জায়গায় রান্না করা গরম ভাতের জন্য একটি সারিতে দাঁড়িয়ে আছেন। ছোট শিশুরা সামনে ...